চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। টাকার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, যা গত জুলাইয়ের চেয়ে ৫২২ কোটি টাকা কম। জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার (এক দশমিক ৮৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার বা ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যবিদায়ী আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৫২২ কোটি টাকা কম, জুলাইয়ে এসেছিল এক দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। তবে গত বছরের (২০২০) একই মাসের চেয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে এক হাজার ২৭৫ কোটি টাকা কম এসেছে। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ১৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
অর্থবছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। গত ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ একজন প্রবাসী বাংলাদেশে ১০০ টাকা পাঠালে তার সঙ্গে আরও দুই টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি আরও এক শতাংশ দেওয়ার অফার দেওয়া হয়। এসব কারণে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এসময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপর ডাচ–বাংলা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। এসব অর্থের বেশিরভাগই এসেছে ১০টি দেশ থেকে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।