ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের রাজধানীর বনানী অফিসে অভিযান চালিয়ে ৫২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। গত ৮ জুন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সম্প্রতি ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তরে অনুষ্ঠিত শুনানিতে আলেশা মার্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে সরকারি কোষাগারে পুরো টাকা জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলার প্রতিবেদন ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মইনুল খান জানান, আলেশা মার্ট বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু তাদের প্রাপ্ত কমিশনের ওপর আরোপিত ভ্যাট যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি।
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযানে দেখা গেছে, আলেশা মার্ট চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে মোট ১৮১ কোটি ৭৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এসব পণ্য তারা কিনেছে ১৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৮৭ হাজার টাকায়। এ ক্ষেত্রে তারা কমিশন পেয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, যার বিপরীত ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ৩২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা যা তারা পরিশোধ করেনি।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে উল্লিখিত সময়ে বিভিন্ন কেনাকাটার ওপর উৎসে ভ্যাট চার কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাটের পরিমাণ ছিল চার কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে তাদের অপরিশোধিত ভ্যাট ১৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এই পাঁচ মাসে আলেশা মার্টের কমিশনের ওপর ভ্যাট এবং উৎসে ভ্যাট বাবদ মোট ৫২ লাখ ২৯ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করা হয়।