প্রতীকী ছবি
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে এতদিন অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা লাগত। এভাবে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে কিছু শ্রেণির মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকার আরও জোরালো ভাবে টিকাদান কার্যক্রম করতে যাচ্ছে । সেই লক্ষ্যে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যেকেউ জাতীয় পরিচপত্র নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই টিকা নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে ‘লকডাউন’ সম্পর্কিত বৈঠক শেষে এমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এবার টিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করছি। সেখান থেকে ইউনিয়নের সব লোকজন, যারা টিকা নিতে চায় বা প্রয়োজন, তারা ওখানে এসে টিকা নিতে পারবে। এই সুবিধা আমরা করে দিচ্ছি। তাদের যে আইডি কার্ড, তা নিয়ে এলে টিকা দিতে পারবে।
গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলো কাজে লাগিয়ে এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। দিনে সাড়ে ৮ লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে বলছে, ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে দেশে আসবে ২১ কোটি ডোজ টিকা। চীনের সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ, কোভ্যাক্সের আওতায় ৭ কোটি এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের থেকে ৭ কোটি ডোজ টিকা আনার চুক্তি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।