বিরক্তর ধুলার অ্যালার্জির প্রতিত্রাণের ৭ উপায়

সবার কাছে অতিপরিচিত সমস্যার একটি হচ্ছে অ্যালার্জি। অনেকে ধুলোবালি থেকেও অ্যালার্জিতে ভোগেন। এই সমস্যায় ভোগেন এমন অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে করতে হবে মোকাবিলা। কিন্তু সহজ উপায়ে আপনিও পেতে পারেন এ সমস্যা থেকে মুক্তির সমাধান।

অ্যালার্জির সমস্যার মূল কারনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাইট বা মাকড়। আবার বাসার ধুলার মধ্যে থাকা মাইট পোকার মলের কারণেও মানুষের অ্যালার্জি হয়৷ এই মাকড়গুলো আমাদের বাসায় থাকা ধুলার মধ্যে  লুকিয়ে থাকে। খালি চোখে এগুলো দেখা যায় না। আর অদৃশ্য এই মাকড়টি ধুলায় থাকার পাশাপাশি আমাদের বিছানাতেও অনেক বেশি থাকে।

অ্যালার্জির কারণে অনেকের হাঁচি-কাশি হয়, কারও ক্ষেত্রে আবার চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া অনেকের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিয়ে থাকে। এমন সমস্যার শিকার হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে ঘরোয়াভাবেও এই সমস্যার প্রতিকার মিলতে সহজে।

জনে নেয়া যাক কীভাবে ঘরোয়াভাবে পাবেন বিরক্তকর ধুলার অ্যালার্জি থেকে মুক্তি—

১. বিছানা পরিষ্কার রাখাঃ

অ্যালার্জির কারণে মাঝে মাঝে অনেকের নাক বন্ধ হয়ে থাকে অথবা ঠাণ্ডা লেগে থাকে। আবার এ সমস্যায় অনেকের ওষুধ খেয়েও লাভ হয় না খুব একটা। কিন্তু অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন আপনার বিছানাকে পরিষ্কার রেখে। বিছানায় থাকে নানান মাকড়, ধুলোবালি, ছারপোকা ইত্যাদি যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না। আর অ্যালার্জি হওয়ার পেছনে এরাই দায়ী। তাই এগুলো থেকে মুক্তি পেতে বিছানা রাখতে হবে পরিষ্কার।

 

২. ঘরের পর্দা পরিষ্কার রাখাঃ

অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকতে হলে নিয়মিত ঘরের দরজা, জানালার পর্দা পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্দার কাপড় এমন নির্বাচন করতে হবে যাতে ধুলাবালি কম আটকাবে।

 

৩.কাপড়ের খেলনা ঘরে না রাখাঃ

আমরা অনেকেই কাপড়ের টেডি বা খেলনা রাখি ঘরে। আর এ ধরনের খেলনাগুলোতে ধুলা জমে অনেক বেশি। এ সমস্যা সমাধান করতে পারেন খুব সহজেই। মাঝে মাঝে আপনার প্রিয় কাপড়ের টেডি বা খেলনাকে কিছুক্ষণ ডিপফ্রিজে রেখে দিন। ফলে এর মাঝে থাকা মাকড় বা ছারপোকাগুলো মরে যাবে।

 

৪. সোফা পরিষ্কার রাখাঃ

বেশিরভাগ সোফার কাপড়েই অনেক বেশি পরিমাণে ধুলা আটকে থাকে৷ তাই অ্যালার্জি সমস্যা থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত সোফার কাপড় পরিষ্কার করতে হবে। আর কাপড়ের পরিবর্তে চামড়ার তৈরি সোফাসেট বাছাই করুন। এতে ধুলা জমে কম।

 

৫. বাসায় ব্যবহৃত চাদর, বালিশ, লেপ, কম্বল নিয়মিত পরিষ্কার করাঃ

অ্যালার্জির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরের বিছানা, চাদর, বালিশ, লেপ, কম্বল ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মাঝে মাঝে সেগুলোকে রোদে রাখতে পারেন। এতে মাকড় ও ছারপোকা থেকে অনেকটাই দূর হবে।

 

৬. কার্পেট বা পাপস পরিষ্কার করাঃ

ঘরে কার্পেট বা পাপস রাখা থাকলে সেগুলোতে অনেক পরিমাণে ধুলা জমে। আপনার অ্যালার্জি হওয়ার এটি অন্যতম কারণ হতে পারে । তাই এর সমাধানে কিছু দিন পর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

৭. বাইরের ধুলাবালিঃ

আমাদের সবাইকে নিয়মিত বাইরে যেতেই হয়। আর বাইরে বের হওয়া মানেই বাইরের ধুলাবালি শরীরে বহন করা। তাই বাইরে থেকে ঘরে এসে প্রথমেই বাইরের জামা পরিবর্তন করুন এবং গোসল সেরে ফেলুন। ঠিক মত পরিস্কার না করা হলে এতে আপনার চুল, নাক, মুখ, চোখ, হাতে লেগে থাকা বাইরের ধুলাবালি আপনার অ্যালার্জি হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *