ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন ও শিপন মিয়া। দিব্যি চলেফিরে বেড়ালেও সরকারি তথ্য বলছে, তারা ২০১৫ সাল থেকে মৃত। ফলে সরকারি সেবা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন তারা।
এ অবস্থায় মৃত থেকে জীবিত হতে আবেদন করেছেন নির্বাচন অফিসে। কিন্তু ছয় মাসেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি।
জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের স্বল্প চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন। তার বাবার নাম জসিম উদ্দিন। ২০১৩ সালে ভোটার হয়েছিলেন মোফাজ্জল। একই উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর টানপাড়া মলামারী গ্রামের শিপন মিয়া। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবু সাঈদের ছেলে। ২০১৮ সালে ভোটার হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পান তিনি। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম কর্তনের কার্যক্রমে মোফাজ্জল ও শিপন ঢুকে যান মৃতদের তালিকায়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত তালিকায় তাদের মৃত দেখানো হয়। প্রথমে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেননি, পরে জানতে পেরে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেন।
শিপন ও মোফাজ্জল দু’জনই পেশায় কৃষক। সরকারি তথ্যে তাদের মৃত দেখানোয় সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা জানান, প্রায়ই নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করছেন। দ্রুত তারা মৃত থেকে জীবিত হতে চান। তাদের বিড়ম্বনার জন্য দায়ীদের শাস্তি চেয়েছেন তাঁরা।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, মৃত ব্যক্তিদের নাম কর্তনের কাজ করতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করার সময় হয়তো ভুলে এমনটি হয়েছে। তাদের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। সংশোধনের বিষয়টি তাদের হাতেও আসতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আবেদন কমিশনে পাঠাননি।