ইরান মডেল ধরে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তালেবান। তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা যায়।
বারাদারের সঙ্গে তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং শের মোহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাইও থাকবেন কেবিনেটে।
তালেবানের এক নেতা রয়টার্সকে জানিয়েছেন সরকার ঘোষণা করতে তালেবানের শীর্ষ নেতারা রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় মোট ২৬ জন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আফগানিস্তানে সরকার গঠনের আগেই চার মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে তালেবান। তারা হলেন, অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি।
এছাড়া ইরান মডেলের মতো দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা করা হতে পারে হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন আফগানিস্তানে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদার হাতেই সর্বময় ক্ষমতা থাকবে।
তালেবান ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করবে।
আফগানিস্তানের জনগণসহ সারা বিশ্বের নজর এখন তালেবানের এই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার কেমন হয়, সেদিকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার যেমনই হোক, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন হবে নতুন এই সরকারের প্রধানতম চ্যালেঞ্জ।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সরকার গঠন হলেও ভারত যে এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না বা শপথ গ্রহণে নয়াদিল্লির প্রতিনিধি থাকছে না, তা প্রায় স্পষ্ট।