হেফাজতের নতুন আমির কে এই মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী

%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0 %E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8 %E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0 %E0%A6%95%E0%A7%87 %E0%A6%8F%E0%A6%87 %E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9 %E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%80
ফাইল ছবি

গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সর্বশেষ দ্বিতীয় আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর ইন্তেকালের পর রাতেই ভারপ্রাপ্ত আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।

 

মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী সম্পর্কে জুনাইদ বাবুনগরীর মামা হন। প্রয়াত জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে তিনি সিনিয়র নায়েবে আমির ছিলেন।

 

মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বয়স প্রায় ৮৭ বছর। তিনি ১৯৩৪ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বাবা হারুন বাবুনগরী ছিলেন একজন খ্যাতনামা ইসলামী পণ্ডিত তাছাড়া তিনি আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের প্রতিষ্ঠাতা।

 

মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ভারতের বিখ্যাত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দেওবন্দ মাদরাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন। ইসলামী পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় বক্তা হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিত তিনি।

 

জানা যায় এপর্যন্ত তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃত্বেও রয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

 

মুহিবুল্লাহ তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম থেকে সম্পন্ন করেন। তারপর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় ভর্তি হন এবং ১৯৫৯ সালে হাদিসে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

 

দেওবন্দে তিনি হুসাইন আহমদ মাদানীর কাছ থেকে হিদায়া আখেরাইনের শেষ পাঠ গ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ ফখরুদ্দীন আহমদের অধীনে সহীহ আল-বুখারী, ইব্রাহিম বালিয়াভীর অধীনে সহীহ মুসলিম ও জামি আল তিরমিযী, ফখরুল হাসানের অধীনে সুনান আবু দাউদ এবং জহির আহমদের অধীনে মুহাম্মদ আল-শায়বানীর বর্ণনায় মালিক ইবনে আনাসের মুওয়াত্তা অধ্যয়ন করেন।

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দেশে ফেরার পর তিনি তার বাবা হারুন বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে শিক্ষক নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে হারুন বাবুনগরী, মুহাম্মদ মুসা, সুফি আবদুল জব্বার এবং আব্দুল হকের পরামর্শে তিনি আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন।

১৯৮৬ সাল থেকে তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। এর আগে, এই সংস্থার সহ-সভাপতি ছিলেন।

 

তিনি চরমোনাই পীর ফজলুল করিমের জীবদ্দশায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ফজলুল হক আমিনীর জীবদ্দশায় তিনি ইসলামী ঐক্যজোট এবং ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে ইসলামী ঐক্যজোটের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৮ সালে ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করেন।

 

পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ৬ মেয়ের জনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *