আদালতের নির্দেশের পর বাংলাদেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো ‘বিপজ্জনক’ ইন্টারনেট গেমের লিংক বন্ধ করে দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি। আদালতের আদেশে গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বন্ধের নির্দেশনা দেয়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে (ডট) এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া শুরু হয়েছে অন্য ‘ক্ষতিকর’ অ্যাপগুলোও বন্ধের প্রক্রিয়া ।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মতো অ্যাপসহ আরও বেশ কিছু অ্যাপ বাংলাদেশে বন্ধের প্রক্রিয়া চলমান। অ্যাপগুলোর লিংক বন্ধ করে দিলেও ভিপিএন দিয়ে চালানো যায়। এসব বন্ধ করার মতো সক্ষমতা আমাদের নেই। অ্যাপের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও আমরা বন্ধ করার অনুরোধ জানাব।’
বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বন্ধ করতে হলে ইন্টারনেট গেটওয়ে, ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দিতে হত। এখন আর এই জটিল পক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় নয়া। বর্তমানে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম নিজেই এ কাজ করতে পারে।
গত ১৬ অগাস্ট দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ এ ধরনের ‘বিপজ্জনক’ সব গেম অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এসব অনলাইন গেম ও টিকটক, লাইকির মতো ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবেনা, তা জানতে রুল জারি করা হয়।
রুলে আরও জানতে চাওয়া হয়, এ ধরনের অনলাইন গেম এবং অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাপ নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা করার জন্য একটি কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
রুলে বিবাদী করা হয়- ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে।
দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এসব গেম ও অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপের ‘বিরূপ প্রভাব’ তুলে ধরে গত ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বিবাদীদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। তাতে সাড়া না পেয়ে গত ২৪ জুন হাইকোর্টে ওই রিট আবেদন করেন তারা।